মাজহারুল ইসলাম: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেদনের জন্য মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ সেখানে রাখা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল (বারডেম) থেকে ফ্রিজিং গাড়িতে করে ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ শহীদ মিনার চত্বরে আনা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

 বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এসময় তার ছেলে বারীষ চৌধুরী বলেন, বাবার ইচ্ছে ছিল তার মরদেহ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাজে দান করা হবে। আমরা তার সন্তান হিসেবে, পরিবার হিসেবে তার এই আশা পূরণের চেষ্টা করেছি। আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ, যেখানে উনি পড়েছিলেন এবং গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ, যে প্রতিষ্ঠান তিনি নিজে গড়ে তুলেছিলেন, সেখানে দান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দুই জায়গা থেকেই একই রকম ফিডব্যাক পেয়েছি। দুটো প্রতিষ্ঠানেই এমন কেউ নেই, যে আমার বাবার লাশে ছুরি লাগাতে পারবে!

বারীষ বলেন, বাবাকে সম্মান করেই এই কথাটা বলা হয়েছে। তখন আমরা আসলে আর কিছু বলতে পারিনি। তাই আমরা তাকে শুক্রবার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমাহিত করার কথা ভেবেছি।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও আমার বাবার যুদ্ধ শেষ হয়নি। তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করেছেন। কারণ, তার কাছে সবচেয়ে বড় ছিল দেশ ও দেশের মানুষ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব